ডাউনলোড ও ফাইল শেয়ারিং এর জগতে অন্যতম একটি মাধ্যম হল টরেন্ট। বড় বড়
সফটওয়্যার, গেম যেগুলো সাধারনত ক্লাউড স্টোরেজে আপলোড করে শেয়ার করার জন্য
উপযুক্ত নয় সেগুলোকে টরেন্ট এর মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। শুধু বড় বড় সফটওয়্যার
ও গেম ই নয় নতুন বিভিন্ন মুভি থেকে অনেক কিছুই যা সরাসরি বিভিন্ন সাইট ও
ক্লাউড স্টোরেজে পাওয়া কষ্টসাধ্য সেগুলো খুব সহজেই পাওয়া যায় টরেন্ট এর
মাধ্যমে।
প্রথমেই জেনে নেয়া যাক টরেন্ট কি?
Torrent হল মূলত একটি বিশেষ ফাইল শেয়ারিং পদ্ধতি। বড় বড় ফাইল এবং সেসব ফাইল বিভিন্ন কপিরাইট এর কারনে ক্লাউড স্টোরেজে আপলোড করা যায় না সেগুলো এই পদ্ধতিতে শেয়ার করা হয়। এটি একটি PC to PC ফাইল শেয়ারিং পদ্ধতি। এতে এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে সরাসরি ফাইল ডাউনলোড হয় কোন রকম মধ্যবর্তী ক্লাউড স্টোরেজে আপলোড এর প্রয়োজন ছাড়াই।
টরেন্ট কিভাবে কাজ করে?
টরেন্ট মুলত প্রায় 10 KB আকারের (*.torrent*) এক্সটেনশন যুক্ত একটি ছোট ফাইল যাতে যেই ফাইলটি ডাউনলোড করতে হবে তা তার বিশেষ কিছু তথ্য দেয়া থাকে। এই torrent ফাইল টিতে Tracker input করা থাকে যা খুজে বের করে অনলাইনে কোন কোন কম্পিউটারে এই ফাইল টি ডাউনলোড করা হয়েছে বা হচ্ছে। আপনি যখন এই টরেন্ট এর সাহায্যে ডাউনলোড শুরু করবেন তখন যেসব কম্পিউটারে এই টরেন্ট দিয়ে ফাইলটি ডাউনলোড করা হয়েছে সেসব কম্পিউটার থেকে আপনার কম্পিউটারে ফাইলটি ডাউনলোড হতে শুরু করবে। এভাবে কোন ক্লাউড স্টোরেজ ছাড়াই সরাসরি এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে ফাইল ট্রান্সফার হয় টরেন্ট এর মাধ্যমে।
শুধু যারা ইতিমধ্যে ডাউনলোড শেষ করেছে সেগুলোই নয় যাদের ডাউনলোড চলছে তাদের কম্পিউটার থেকেও আপনার কম্পিউটারে ফাইলের কিছু অংশ ডাউনলোড হবে। একইভাবে আপনি যখন ডাউনলোড করছেন তখন আপনার কম্পিউটার থেকেও আরেকজন যে কিনা ডাউনলোড করছে তার কাছে কিছু কিছু করে আপলোড হতে থাকবে। এই আপলোডের পরিমান সর্বনিম্ম 1kb/s পর্যন্ত নিয়ত্রনযোগ্য।
Torrent কোথায় পাব?
টরেন্ট দিয়ে ফাইল ডাউনলোড করার জন্য আমাদের প্রথমেই লাগবে আমাদের দরকারী জিনিসের torrent ফাইলটি। অনেক torrent সাইট আছে, তবে তার মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও ভাল দুটি টরেন্ট সাইট হল
kickass.to
thepiratebay.org (Beware: 18+ add all time available at the side bar)
এখানে সার্চ দিয়ে আপনি আপনার পছন্দের টরেন্ট ডাউনলোড করে নিন।
ভাল টরেন্ট নির্বাচনঃ
সাইটগুলোতে সার্চ দিলে একই জিনিসের অনেকগুলো টরেন্ট হাজির হবে। আপনাকে বাছাই করতে হবে আপনি ঠিক কোন টরেন্ট টা ব্যবহার করবেন। আগেই বলেছি যে অনলাইনে থাকা কম্পিউটার থেকে ডাউনলোড হবে। সুতরাং যেই টরেন্ট টি বেশি সংখ্যক কম্পিউটারে থাকবে আপনি আপনার ইন্টারনেট কানেকশনের উপর নির্ভর করতে তত ভাল ডাউনলোড স্পীড পাবেন।
যাদের ডাউনলোড শেষ হয়েছে শুধু আপলোড করছে তাদেরকে বলে “seeder” আর যারা একি সাথে ডাউনলোড ও আপলোড করছে তাদের বলে “leecher”
seeder যত বেশী হবে তত বেশী ডাউনলোড স্পীড পাওয়া যাবে। সেই সাথে seeder বেশী মানে হল এই টরেন্ট টি দিয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডাউনলোড হয়েছে। leecher এর ক্ষেত্রেও একই কথা, বেশী মানুষ ডাউনলোড করছে। চেষ্টা করবেন বেশী seeder সমৃদ্ধ torrent ডাউনলোড করতে।
সাইটগুলোতে একটি নির্দিষ্ট টরেন্ট এর পেইজে ঢুকলে সেখানে কিছু তথ্য দেখতে পাবেন। এগুলো ভাল টরেন্ট নির্বাচনের জন্য সহায়ক। তথ্য গুলো এরকম –
১. Seeder – যত বেশী তত ভালো
২. Leecher – মাঝামাঝি উত্তম কম সিডারে বেশী লিচার হলে ডাউনলোড স্পীড কম পাওয়া যাবে।
৩. Comments – এখানে যারা ডাউনলোড করেছেন তাদের কমেন্ট পাওয়া যায়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন। কমেন্ট গুলোতে আপনি দেখতে পাবেন এই টরেন্টে আপনার প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট গুলোই আছে কিনা, এতে কোন ভাইরাস বা ক্ষতিকর কিছু রয়েছে কিনা, সফটওয়্যার ও গেম এর ক্ষেত্রে আসলেই কার্যকরী কিনা ইত্যাদি। এই Comments গুলো বিবেচনা করেই অনেকখানি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এটি ভাল টরেন্ট কিনা।
৪. Torrent আপলোডকারীর বক্তব্য – এই টরেন্টে কি কি আছে এবং এগুলোর সাইজ কত, গেম ও সফটওয়্যার এর ক্ষেত্রে ক্র্যাক করা কিনা, system requirements, install notes ইত্যাদি এখানে দেয়া থাকে।
টরেন্ট এর সাহায্যে ফাইল ডাউনলোড পদ্ধতিঃ
torrent ফাইল ডাউনলোড এর পর সেই ছোট torrent ফাইলটি দিয়ে বড় আকারের মূল ফাইলটি ডাউনলোড করতে হলে প্রথমেই লাগবে একটি ভাল Torrent client. টরেন্ট ক্লায়েন্ট এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল µtorrent এবং BitTorrent. দুটিই ভাল মানের টরেন্ট ক্লায়েন্ট। আপনি যেকোনটি ব্যবহার করতে পারেন। আমি এখানে µtorrent সম্পর্কে বিস্তারিত বলব। আপনার কাছে এগুলো না থাকলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন নিচে থেকে।
1. Status Bar: – এখানে Download progress অর্থাৎ কতটুকু ডাউনলোড হয়েছে তা দেখতে পারবেন।
2. Health Bar: – এই টরেন্ট এর ডাউনলোড ও আপলোড অবস্থা সম্পর্কে এটা আপনাকে অবহিত করবে।
3. Down Speed: – বিভিন্ন seeder ও leecher থেকে নিয়ে মোট কত স্পীডে ডাউনলোড হচ্ছে তা এখানে দেখায়।
4. Up speed: – বিভিন্ন leecher কে দিয়ে মোট কত স্পীডে আপনার কম্পিউটার থেকে ডাটা আপলোড হচ্ছে তা এখানে দেখাবে। এটাও আপনার Bandwidth থেকেই যাবে। Up speed বেড়ে গেলে Down speed কমে যাবে।
5. ETA: – বর্তমান স্পীডে চললে আনুমানিক কতক্ষনে সম্পূর্ন ডাউনলোড শেষ হবে তা এখানে দেখাবে।
6. Files tab: – এই টরেন্ট দিয়ে কি কি ফাইল ডাউনলোড হচ্ছে তা এই ট্যাবে দেখা যাবে। দেখানো ফাইল গুলোর উপর রাইট ক্লিক করে কোন নির্দিষ্ট ফাইল কে বাদ দিয়া অন্যগুলো ডাউনলোড করা যাবে। কোন ফাইল টি আগে ডাউনলোড হবে কোনটি পরে ডাউনলোড হবে তাও priority পরিবর্তন করে ঠিক করে দেয়া যাবে।
7. Info: – এই ট্যাব টি তে এই টরেন্ট এবং ডাউনলোড সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে।
8. Peers: – এখানেই টরেন্টের আসল বস্তু seeder এবং leecher দের তালিকা থাকে।সবুজ বক্স মার্ক করে দেখান হয়েছে একটি seeder. এখানে seeder এর পোর্ট সহ IP, seeder এর torrent client, seeder এর ক্ষেত্রে 100% এবং leecher এর ক্ষেত্রে তার কতটুকু ডাউনলোড সম্পন্ন হয়েছে তার পরিমান, seeder থেকে প্রাপ্ত আপনার ডাউনলোড স্পীড, leecher কে দেয়া আপনার আপলোড স্পীড ইত্যাদি বিস্তারিত এখানে দেয়া থাকে।
তো মোটামুটি এভাবেই আপনারা টরেন্ট ব্যবহার করে ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে বিভিন্ন কম্পিউটার থেকে আসায় টরেন্ট এর ডাউনলোড স্পীড IDM থেকে খানিকটা কম হয়। আবার যেহেতু আপনার কম্পিউটার থেকে আপলোড ও হবে এটিও আপনার Bandwidth থেকেই যাবে মানে আপলোডের কারনেও ডাউনলোড স্পীড কমে। তার উপর আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই এখনো স্লো ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে নিচের কয়েকটি কাজ ধাপে ধাপে করে আপনি টরেন্ট থেকে আপনার Bandwidth এর সর্বোচ্চ স্পীড পেতে পারেন।
এই পদ্ধতি অনুসরন করে আপনার ইন্টারনেট কানেশনের স্পীডের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে টরেন্ট এর সাহায্যে ডাউনলোড করতে পারবেন।
***** আরো ভাল ভাল পোস্ট পেতে নজর রাখুন আমাদের সাইটে। আমাদের সাইটটী বুকমার্ক করে রাখতে ভুলবেননা কিন্তু!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
Tag : torrent,protable torrent,u torrent,bit torrent,how to
প্রথমেই জেনে নেয়া যাক টরেন্ট কি?
Torrent হল মূলত একটি বিশেষ ফাইল শেয়ারিং পদ্ধতি। বড় বড় ফাইল এবং সেসব ফাইল বিভিন্ন কপিরাইট এর কারনে ক্লাউড স্টোরেজে আপলোড করা যায় না সেগুলো এই পদ্ধতিতে শেয়ার করা হয়। এটি একটি PC to PC ফাইল শেয়ারিং পদ্ধতি। এতে এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে সরাসরি ফাইল ডাউনলোড হয় কোন রকম মধ্যবর্তী ক্লাউড স্টোরেজে আপলোড এর প্রয়োজন ছাড়াই।
টরেন্ট কিভাবে কাজ করে?
টরেন্ট মুলত প্রায় 10 KB আকারের (*.torrent*) এক্সটেনশন যুক্ত একটি ছোট ফাইল যাতে যেই ফাইলটি ডাউনলোড করতে হবে তা তার বিশেষ কিছু তথ্য দেয়া থাকে। এই torrent ফাইল টিতে Tracker input করা থাকে যা খুজে বের করে অনলাইনে কোন কোন কম্পিউটারে এই ফাইল টি ডাউনলোড করা হয়েছে বা হচ্ছে। আপনি যখন এই টরেন্ট এর সাহায্যে ডাউনলোড শুরু করবেন তখন যেসব কম্পিউটারে এই টরেন্ট দিয়ে ফাইলটি ডাউনলোড করা হয়েছে সেসব কম্পিউটার থেকে আপনার কম্পিউটারে ফাইলটি ডাউনলোড হতে শুরু করবে। এভাবে কোন ক্লাউড স্টোরেজ ছাড়াই সরাসরি এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটারে ফাইল ট্রান্সফার হয় টরেন্ট এর মাধ্যমে।
শুধু যারা ইতিমধ্যে ডাউনলোড শেষ করেছে সেগুলোই নয় যাদের ডাউনলোড চলছে তাদের কম্পিউটার থেকেও আপনার কম্পিউটারে ফাইলের কিছু অংশ ডাউনলোড হবে। একইভাবে আপনি যখন ডাউনলোড করছেন তখন আপনার কম্পিউটার থেকেও আরেকজন যে কিনা ডাউনলোড করছে তার কাছে কিছু কিছু করে আপলোড হতে থাকবে। এই আপলোডের পরিমান সর্বনিম্ম 1kb/s পর্যন্ত নিয়ত্রনযোগ্য।
Torrent কোথায় পাব?
টরেন্ট দিয়ে ফাইল ডাউনলোড করার জন্য আমাদের প্রথমেই লাগবে আমাদের দরকারী জিনিসের torrent ফাইলটি। অনেক torrent সাইট আছে, তবে তার মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও ভাল দুটি টরেন্ট সাইট হল
kickass.to
thepiratebay.org (Beware: 18+ add all time available at the side bar)
এখানে সার্চ দিয়ে আপনি আপনার পছন্দের টরেন্ট ডাউনলোড করে নিন।
ভাল টরেন্ট নির্বাচনঃ
সাইটগুলোতে সার্চ দিলে একই জিনিসের অনেকগুলো টরেন্ট হাজির হবে। আপনাকে বাছাই করতে হবে আপনি ঠিক কোন টরেন্ট টা ব্যবহার করবেন। আগেই বলেছি যে অনলাইনে থাকা কম্পিউটার থেকে ডাউনলোড হবে। সুতরাং যেই টরেন্ট টি বেশি সংখ্যক কম্পিউটারে থাকবে আপনি আপনার ইন্টারনেট কানেকশনের উপর নির্ভর করতে তত ভাল ডাউনলোড স্পীড পাবেন।
যাদের ডাউনলোড শেষ হয়েছে শুধু আপলোড করছে তাদেরকে বলে “seeder” আর যারা একি সাথে ডাউনলোড ও আপলোড করছে তাদের বলে “leecher”
seeder যত বেশী হবে তত বেশী ডাউনলোড স্পীড পাওয়া যাবে। সেই সাথে seeder বেশী মানে হল এই টরেন্ট টি দিয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডাউনলোড হয়েছে। leecher এর ক্ষেত্রেও একই কথা, বেশী মানুষ ডাউনলোড করছে। চেষ্টা করবেন বেশী seeder সমৃদ্ধ torrent ডাউনলোড করতে।
সাইটগুলোতে একটি নির্দিষ্ট টরেন্ট এর পেইজে ঢুকলে সেখানে কিছু তথ্য দেখতে পাবেন। এগুলো ভাল টরেন্ট নির্বাচনের জন্য সহায়ক। তথ্য গুলো এরকম –
১. Seeder – যত বেশী তত ভালো
২. Leecher – মাঝামাঝি উত্তম কম সিডারে বেশী লিচার হলে ডাউনলোড স্পীড কম পাওয়া যাবে।
৩. Comments – এখানে যারা ডাউনলোড করেছেন তাদের কমেন্ট পাওয়া যায়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন। কমেন্ট গুলোতে আপনি দেখতে পাবেন এই টরেন্টে আপনার প্রয়োজনীয় কন্টেন্ট গুলোই আছে কিনা, এতে কোন ভাইরাস বা ক্ষতিকর কিছু রয়েছে কিনা, সফটওয়্যার ও গেম এর ক্ষেত্রে আসলেই কার্যকরী কিনা ইত্যাদি। এই Comments গুলো বিবেচনা করেই অনেকখানি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এটি ভাল টরেন্ট কিনা।
৪. Torrent আপলোডকারীর বক্তব্য – এই টরেন্টে কি কি আছে এবং এগুলোর সাইজ কত, গেম ও সফটওয়্যার এর ক্ষেত্রে ক্র্যাক করা কিনা, system requirements, install notes ইত্যাদি এখানে দেয়া থাকে।
টরেন্ট এর সাহায্যে ফাইল ডাউনলোড পদ্ধতিঃ
torrent ফাইল ডাউনলোড এর পর সেই ছোট torrent ফাইলটি দিয়ে বড় আকারের মূল ফাইলটি ডাউনলোড করতে হলে প্রথমেই লাগবে একটি ভাল Torrent client. টরেন্ট ক্লায়েন্ট এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল µtorrent এবং BitTorrent. দুটিই ভাল মানের টরেন্ট ক্লায়েন্ট। আপনি যেকোনটি ব্যবহার করতে পারেন। আমি এখানে µtorrent সম্পর্কে বিস্তারিত বলব। আপনার কাছে এগুলো না থাকলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন নিচে থেকে।
Download µtorrent
Download µtorrent portable
µtorrent এবং BitTorrent এর ইউজার ইন্টারফেস কাছাকাছি। আমি এখানে µtorrent ব্যবহার করে কিভাবে ডাউনলোড করবেন তা দেখাচ্ছি। µtorrent ওপেন করুন। ওপেন হওয়া উইন্ডো তে আপনার পূর্বে ডাউনলোড করা torrent file টি Drag and Drop করে নিয়ে আসুন। এতে নিচের মত একটি Add torrent উইন্ডোআসবে।
- এখানে Save in ড্রপডাউন বক্স থেকে কোথায় ডাউনলোড করতে চান তা দেখিয়ে দিন।
- আলাদা আলাদা ফাইল থাকলে সবগুলোকে একটা ফল্ডারে রাখার জন্য Create subfolder চেক বক্স সিলেক্ট করে দিন।
- ফোল্ডারের নাম কি হবে তা নিচের Name বক্সে লিখে দিন।
- একাধিক ফাইলের ক্ষেত্রে, সব ফাইল ডাউনলোড করতে চাইলে ডান পাশের Select All এ ক্লিক করুন।
- যদি কিছু ফাইল বাদ দিয়ে কিছু ডাউনলোড করতে চান তবে যেগুলো ডাউনলোড করবেন সেগুলোর চেক বক্স সিলেক্ট করে দিন। পরবর্তীতে প্রয়োজনে Files Tab থেকে অন্যগুলোও ডাউনলোড করা যাবে।
- সবশেষে ok বাটনে ক্লিক করুন। আপনার ইন্টারনেট স্পীড এর উপর ভিত্তি করে কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিটের মধ্যে ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।
1. Status Bar: – এখানে Download progress অর্থাৎ কতটুকু ডাউনলোড হয়েছে তা দেখতে পারবেন।
2. Health Bar: – এই টরেন্ট এর ডাউনলোড ও আপলোড অবস্থা সম্পর্কে এটা আপনাকে অবহিত করবে।
3. Down Speed: – বিভিন্ন seeder ও leecher থেকে নিয়ে মোট কত স্পীডে ডাউনলোড হচ্ছে তা এখানে দেখায়।
4. Up speed: – বিভিন্ন leecher কে দিয়ে মোট কত স্পীডে আপনার কম্পিউটার থেকে ডাটা আপলোড হচ্ছে তা এখানে দেখাবে। এটাও আপনার Bandwidth থেকেই যাবে। Up speed বেড়ে গেলে Down speed কমে যাবে।
5. ETA: – বর্তমান স্পীডে চললে আনুমানিক কতক্ষনে সম্পূর্ন ডাউনলোড শেষ হবে তা এখানে দেখাবে।
6. Files tab: – এই টরেন্ট দিয়ে কি কি ফাইল ডাউনলোড হচ্ছে তা এই ট্যাবে দেখা যাবে। দেখানো ফাইল গুলোর উপর রাইট ক্লিক করে কোন নির্দিষ্ট ফাইল কে বাদ দিয়া অন্যগুলো ডাউনলোড করা যাবে। কোন ফাইল টি আগে ডাউনলোড হবে কোনটি পরে ডাউনলোড হবে তাও priority পরিবর্তন করে ঠিক করে দেয়া যাবে।
7. Info: – এই ট্যাব টি তে এই টরেন্ট এবং ডাউনলোড সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে।
8. Peers: – এখানেই টরেন্টের আসল বস্তু seeder এবং leecher দের তালিকা থাকে।সবুজ বক্স মার্ক করে দেখান হয়েছে একটি seeder. এখানে seeder এর পোর্ট সহ IP, seeder এর torrent client, seeder এর ক্ষেত্রে 100% এবং leecher এর ক্ষেত্রে তার কতটুকু ডাউনলোড সম্পন্ন হয়েছে তার পরিমান, seeder থেকে প্রাপ্ত আপনার ডাউনলোড স্পীড, leecher কে দেয়া আপনার আপলোড স্পীড ইত্যাদি বিস্তারিত এখানে দেয়া থাকে।
তো মোটামুটি এভাবেই আপনারা টরেন্ট ব্যবহার করে ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে বিভিন্ন কম্পিউটার থেকে আসায় টরেন্ট এর ডাউনলোড স্পীড IDM থেকে খানিকটা কম হয়। আবার যেহেতু আপনার কম্পিউটার থেকে আপলোড ও হবে এটিও আপনার Bandwidth থেকেই যাবে মানে আপলোডের কারনেও ডাউনলোড স্পীড কমে। তার উপর আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই এখনো স্লো ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে নিচের কয়েকটি কাজ ধাপে ধাপে করে আপনি টরেন্ট থেকে আপনার Bandwidth এর সর্বোচ্চ স্পীড পেতে পারেন।
- টরেন্ট ডাউনলোড শুরু হলে টরেন্ট ইন্টারফেসে টরেন্ট এর উপর রাইট ক্লিক করুন। এতে একটি Cascaded menu ওপেন হবে। এখানে Force Start এ ক্লিক করুন।
- আবার টরেন্ট এর উপর রাইট ক্লিক করে Cascaded menu তে যান। Bandwidth allocation এ ক্লিক করে High সিলেক্ট করে দিন।
- এবার হচ্ছে ডাউনলোড বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকরী কাজ। টরেন্ট এ রাইট ক্লিক করে Cascaded menu ওপেন করুন। Bandwidth allocation এ যান, তারপর Set Upload limit এ ক্লিক করলে দেখবেন unlimited সিলেক্ট করা আছে। এর ঠিক নিচে 25 Kb/s লেখা আছে এটি সিলেক্ট করে দিন। এতে আপনার সর্বোচ্চ আপলোড স্পীড 25 Kb/s এর বেশী যাবে না। বাকিটা আপনার ডাউনলোড এ কাজে লাগতে পারে। তো 25 Kb/s না করে আরো কমাতে চাইলে একইভাবে আবার Cascaded menu থেকে Bandwidth allocation গিয়ে set upload limit এ যান। দেখবেন যেখানে 25 Kb/s লেখা ছিল সেখানে আরো কম 10 Kb/s এসেছে। এবার 10 Kb/s সিলেক্ট করে দিন। এখন আপনার সর্বোচ্চ আপলোড স্পীড 10 Kb/s. এভাবে কমাতে কমাতে আপনি সর্বনিন্ম 1 Kb/s পর্যন্ত আপলোড স্পীড লিমিট করে দিতে পারবেন। তখন যেহেতু মাত্র 1 Kb/s স্পীড আপলোডে ব্যায় হবে আপনি আপনার কানেকশনের প্রায় পুরোটাই ডাউনলোড এর জন্য পেয়ে যাবেন।
এই পদ্ধতি অনুসরন করে আপনার ইন্টারনেট কানেশনের স্পীডের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে টরেন্ট এর সাহায্যে ডাউনলোড করতে পারবেন।
***** আরো ভাল ভাল পোস্ট পেতে নজর রাখুন আমাদের সাইটে। আমাদের সাইটটী বুকমার্ক করে রাখতে ভুলবেননা কিন্তু!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
Tag : torrent,protable torrent,u torrent,bit torrent,how to
0 comments:
Post a Comment